আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: কবি, চিকিৎসক এবং বহু গুণে গুনাণ্বিত সেরাজুল হক ১৯১৮ সালে অবিভক্ত বাংলার (বর্তমান ভারতের) জলপাইগুড়ি জেলাধীন ময়নাগুড়ি থানার মাধবডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আইন উদ্দিন এবং মাতার নাম আমিরন নেছা। তিনি ১৯৩৬ সালে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন এবং ১৯৩৯ সালে ঢাকাস্থ এগ্রিকালচার ইনসটিটিউশন থেকে কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর ১৯৪০ সালে ওভারশিয়ার হিসেবে ব্রিটিশ সরকারের অধীনে চাকুরীতে যোগদান করেন। চাকুরিরত অবসহায় তিনি ১৯৪৫ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। অতঃপর তিনি কোলকাতা থেকে হোমিওপ্যাথে এইচ.এম.বি. ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার পর তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদের পাশাপাশি হোমিও চিকিৎসা শুরু করেন। হোমিও চিকিৎসায় তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। ছন্দ-কাব্য রচনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্থ। ১৯৬৩ সালে ‘চাষা ও কাঠমোল্লার বাহাজ’ নামে তার একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়। তিনি ছিলেন একজন বহুভাষী ব্যক্তিত্ত্ব। আরবী, উর্দূ, হিন্দি, সংস্কৃত এবং ইংরেজী ভাষায় ছিল তার অসামান্য দখল। জীবনের অনেক সময় তিনি রাজনীতিতে অতিবাহিত করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও তিনি ন্যাপ (ভাসানী) পার্টির কালীগঞ্জ থানার সভাপতি ছিলেন। ১৯৯২ সালের ৭ এপ্রিল এ গুণী মানুষের জীবনাবসান ঘটে।